Uncategorized

মালালা ইউসুফজাই

Malala Yousafzai Pakistani education activist
আপনার কি মনে হয় এই মহিলাটি নোবেল শান্তি পুরস্কার ্পাওয়ার যোগ্য?
১৯৯৭ এ জন্ম। ২০১৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে।Nobel Peace Prize laureate মালালা সুন্নী মুসলমান সম্প্রদায়ের।পাস্তুন উপজাতি। ওদের পরিবারে দারিদ্রতা এতই ছিল যে মালালা হাসপাতালে জন্মায়নি বাড়িতে প্রতিবেশির পরিষেবা নিয়ে জন্মেছে সেই কারণে তার বাবা নাম রাখে মালালা মানে দুঃখ আক্রান্ত grief-stricken”
মালালার বাবা একজন শিক্ষক ছিলেন। ঘটনা ক্রমে বিবিসির একজন সাংবাদিক তালিবানদের খবর নেওয়ার জন্য যোগাযোগ হয় ও বিবিসির উর্দু ভাষায় ছদ্মনামে ব্লগ লিখতে দেওয়া হয়। তালিবানরা সোয়াত প্রদেশে মেয়েদের পড়া বন্ধ করে দিয়েছিল সেই প্রেক্ষিতে তাদের মেয়েদের প্রতিক্রিয়া। একট বড় বাচ্চা মেয়ে অফারটা নিয়েও তালিবানের ভয়ে ছেড়ে দিল, তখন গুল মাকাই “Gul Makai” (“cornflower পাস্তু লোক কথার একটি মেয়ের নাম , মালালা লিখল। চার পাঁচটি লাইন। ২০০৯ এর ৩রা জানুয়ারিতে বিবিসি ১২ বছরে মালালার ছদ্মনামে (গুল মাকাই) গল্প উর্দু ব্লগে প্রকাশ করল।
লেখাটা ছিল এরকম
আমি গতকাল সামরিক হেলিকপ্টার এবং তালেবানদের সাথে একটি ভয়ানক স্বপ্ন দেখেছিলাম। সোয়াতে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে আমি এমন স্বপ্ন দেখেছি। আমার মা আমাকে সকালের নাস্তা বানিয়ে দিলেন এবং আমি স্কুলে চলে গেলাম। আমি স্কুলে যেতে ভয় পেতাম কারণ তালেবান একটি আদেশ জারি করেছিল যে সমস্ত মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করে। পাকিস্তানি তালেবানের আদেশের কারণে সংখ্যা কমে যাওয়ায় ২৭ জন ছাত্রের মধ্যে মাত্র ১১ জনই ক্লাসে যোগ দিয়েছিল। এই আদেশের পর আমার তিন বন্ধু তাদের পরিবারের সাথে পেশোয়ার, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে চলে গেছে।
তো পশ্চিমী রাস্ট্রগুলি যেমন লন্ডনে মুসলিমরা বর্তমানে যা করছে, খোলা আকাশের নীচে হিন্দু মন্দির ভেংগে দিচ্ছে রক্তারক্তি করছে, প্রশাসন ভয় পাচ্ছে সামলাতে। কিন্তু ওরা এশিয়ায় ব্যবসার লোভে মুসলিমদের উপর চাপ রাখছে।পশ্চিমীরা বলছে তারাই সভ্য জাতি। ম্যাডোনার বা মিলি সাইরাসের যোনি খুলে বসা হল সভ্যতার দৃস্টান্ত আর মহিলারা বুর্খা পরে বেরোনো বা পড়াশুনা না করা হল অসভ্যতা। পশ্চিমীরা কিন্তু চীনকে ভয় পায় যমের মতন। ওরা মুসলিমদের সাথে বা মধ্যপ্রাচ্যে রাজত্ব করার জন্য নানা অছিলা তৈরি করেছে ও বাচ্চা মেয়েদের দিয়ে ভিক্টিম কার্ড খেলাচ্ছে।
পাকিস্থান কিন্তু বর্তমানে দেউলিয়া। কারণ ভন্ডামী মিলিটারি বনাম ভোট জয়ী গণতন্ত্রের বিশাল শত্রুতা। ওদের প্রধানমন্ত্রীরা পশ্চিমী টাকা খেয়ে পুতুল হয়ে থাকে। মিডিয়াগুলিও তেমন দোষে দুষ্ট।
মিডিয়াগুলি গুল মাকাইর আসল নাম জেনে নানা প্রেস ও পুরস্কার দিতে লাগল ও মালাল্কে নাবালিকা গ্রুপের শ্রেষ্ঠ সেলিব্রিটি বানিয়ে দিল। মালালার সাহস বেড়েছে আর কেনই বা বাড়বেনা। তার নাম খবরে বেরুচ্ছে। প্রধান মন্ত্রী পুরস্কার দিচ্ছে। সে একজন বিখ্যাত। এদিকে তার বাবাও বিখ্যাত মেয়েকে সাহসী বানিয়ে তুলছে ও মেয়েকে সামনে রেখে অর্থ উপার্জন করছে। মালালার বাবা জিয়াউদ্দীন Ziauddin Yousafzai ও হিরো।
মালালার ইচ্ছা ছিল একজন ডাক্তার হবে। আর তার বাবা চেয়েছিল রাজনীতিক হবে।
এদিকে তালেবানরা ২০১২ তে তাদের রেডিওতে মালালা ও তার বাবাকে খুনের হূমকী দিল। ৯ অক্টোবর বাসে করে বাড়ি ফেরার সময় আরো দুটি মেয়ের সাথে এক নন্দুকবাজ গুলি করে পালিয়ে যায়। মালার বাঁ চোখের উপর দিয়ে বিদ্ধ হয় ও গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতাল ও লন্ডন।
এর আগের বছর ডেসমন্ড টুটু আফ্রিকার ( Archbishop Desmond Tutu, a South African activist, nominated Yousafzai for the International Children’s Peace Prize of the Dutch international children’s advocacy group, ) সুপারিশ করল মালালাকে শান্তি পুরস্কার দেবার জন্য।
এরপর ২০১৪ সালে মালালাকে শান্তি পুরস্কার দেওয়া হল।
এই পুরো গল্পটাতে পশ্চিমী মিডিয়া ও পাকিস্থানের সুযোগসন্ধানীরা একটি নাবালিকা মেয়েকে বার বার দেখিয়ে বিখ্যাত করে দিল ও মেয়েটির ভবিষ্যত সুরক্ষার জন্য তাকে শান্তির পুরস্কারের অর্থ দেওয়া হল
এটা একটা বিরাট প্রপাগান্ডা এইভাবেই বড় পুরস্কার দেওয়া হয়।