Uncategorized

পৃথিবীটা কার? আপনি বিচার করুন

আত্মজ উপাধ্যায়

আমরা সবাই শৈশব থেকে মৃত্যু অবধি, নিজের একটা অধিকার ফলাই। শৈশবে ছোটখাট জিনিসের উপর। বড় হলে, অনন্তকে নিজের অধিকারে রাখতে চাই। রাজা/ সম্রাট হলে, কিংবা চীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলে বলি পুরো পৃথিবীটা আমার। নারী /পুরুষ হলেও বলি  পৃথিবীটা আমার। কিংবা নারী হলে সমগ্র নারী জাতির প্রতিনিধি হয়ে বলি, পৃথিবীটা মহিলাদের। পুরুষ হলে বলি পুরুষের। কারুর তো বেশি অধিকার বোধ জন্মায়! কোন ব্যবসায় শরিকদের মধ্যে যার লগ্নী বেশি,তার স্বাভাবিক অধিকারবোধ অন্যদের চেয়ে বেশি থাকে। এমন ভাবনার অবতরণ করলাম কারণ আমার লেখার বিষয়, নারী পুরুষের যোগ্যতা।

দ্বন্দ্ব তো আছেই। এবং সত্যও আছে। সবাই চাই মিথ্যার অবসান হোক।

নারী পুরুষকে আমি তাদের লিংগ দিয়ে দেখিনা। তারা মানুষ একজন, এটাই তাদের পরিচয় আমার কাছে। আমার কাছে এই পৃথিবীতে যারা জন্ম নিয়েছে, যারা এই পৃথিবীতে বাস করে ও তাদের তাদের চরিত্র বা বৈশিষ্ট নিয়ে খাওয়া , বাঁচা, ও নিরাপত্তার অধিকার প্রত্যেকের আছে। প্রতিটি ক্ষুদ্র প্রাণী, পোকা মাকর থেকে, উদ্ভিদ, জীবজন্তু পাখী , ঠিক তেমন পুরুষ ও নারীর জন্মগত অধিকার, মানবাধিকার রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল এই কোটি কোটি প্রাণীর জগতে সবাই সবার সমান?

সমান তো নিশ্চয়ই নয়। আকৃতিতে, ক্ষমতায়, কাজে , আগের আসার ভিত্তিতে দেওয়া নেওয়া ইত্যাদির হরেক রকম প্রশ্নে প্রাণিরা সমান নয়।

সবচেয়ে বড় কথা, প্রত্যেকে প্রত্যেকের মত বাঁচে, নিজের কাছে যা সম্ভব, যা রসদ আছে, রসদ অর্জন করতে পারে, তার ভিত্তিতে বাঁচে। সুতরাং এখানে কেউ প্রতিযোগিতায় আসেনি। অনর্থক প্রতিযোগিতায় আসাও উচিত নয়। কে সবার থেকে নিরাপত্তা ও নিজের বাঁচাকে সুরক্ষিত করতে পারে। এই সংগ্রাম চলছে। এই সংগ্রাম চলছে যেদিন এক কোষী প্রাণি জন্মাল তার পর মুহুর্ত থেকে। জীববিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই এক কোষী প্রাণীর জন্ম ৩৮০ -৪০০ কোটি বছর আগে হয়েছিল। তখনও অক্সিজেনের আবির্ভাব হয়নি। অক্সিজেন ২৪৫কোটি বছর আগে (oxygen was first produced in atmosphere around 2.45 billion years ago,” says geochemist Dick Holland)। অথচ প্রত্যেকটা প্রাণী ক্ষমতা দখল করতে চায়। তার বাঁচা নিশ্চিন্ত করতে চায়।তার বংশধরকে নিরাপত্তা দিতে চায়। বাপেরও যেমন বাপ থাকে, তেমন এই ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তারে কে সেরা? অর্থাৎ পৃথিবীর শাসক কে?


পুরুষ? নারী? বাঘ ? সিংহ? কে?

শাসকের ক্ষমতা থাকা চাই, পিটিয়ে হো্‌ক, খুন করে হোক,ভালবেসে হোক, বা যে কোন মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রকে ধরে রাখা চাই।
এই ক্ষমতা অর্জনের লড়াইয়ে কোন বৈধ অবৈধ ব্যাপার বা আইন নেই। কারণ যিনি ক্ষমতা অর্জন করেন তার খুশি ও মর্জিই শেষ কথা। সেই আইন।
আপনি জংগলে যান। আপনার বড় বড় কথা নিয়ে। দাঁড়ান, বন্য জন্তুর সামনে। দেখুন কে শাসক। আপনি শহর থেকে বহুদুরে কোন আদিবাসী গ্রামে যান, আপনার আইন বই কোন কাজ করবেনা। ওখানে মোড়ল শাসক। আপনি মাফিয়ার ডেরায় যান, তাকে বোঝান তিনি একজন অপরাধী, তাকে জেলে যেতে হবে। দেখুন কি হয়। আপনার বাবামায়ের দেওয়া প্রাণটা আর থাকবেনা। সেখানে তিনি- মাফিয়া শাসক। দিনের আলোয় অনেক নেতা সাংসদ সংবিধান অস্বীকার করে শাসক হয়ে যান। আপনি ঘরে চলুন। আপনার বাড়িতে যিনি টাকা রোজগার করেন তিনিই সেই ঘরের শাসক। নারী না পুরুষ? যেকেউ। যার টাকা রোজগার আছে বেশি।
যিনি পোষ্য নেন, তার ক্ষমতা বা ধন দিয়ে, তাকে ক্ষমতা বা ধন অর্জন করতে হয় প্রতিমূহুর্তে। তার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা আগে। সেই নিরাপত্তা ভেংগে তার পোষ্যদের কথা মানা তাকে বিপদে ফেলে দিতে পারে। এছাড়া প্রত্যেক মানুষের একটা জীবন যাপনের প্রতি নিয়ত ভাবনা বা কল্পনা তৈরি হয়, থাকে। সে যখন রোজগার করে, তার ভাবনার দাম অগ্রাধিকার পাবে।এখানে ২য় ব্যক্তি থাকা উচিত নয় ও থাকেনা।


বং সেইমত, সমাজ সৃষ্টি হয়েছে।


সবাই এক নয়। সবাই সমান নয়। যদি সমান হত, অর্থাৎ সমাজের ১০০ জন লোক, প্রত্যেকেই সমান ক্ষমতার অধিকারী হলে গন্ডগোলের সৃষ্টি হত। দেখা যাবে সমাজের একটা সেতু বানাবার দরকার, ১০০জনের ১০০ মতের জন্য সেতু বানানোর পরিকল্পনাই সিদ্ধান্ত নেওয়া গেলনা। একটা কর্পোরেট হাউস, একটা প্রশাসন বিভাগ, একটা প্রতিষ্ঠান প্রত্যেকটারই একজন শীর্ষব্যক্তি থাকেন। যার কথায় সবাই মানেন। সেই শীর্ষ ব্যক্তি আবার নিজের ভাবনাকে শক্তি শালী করার জন্য, তার কাজ সুষ্ঠ পরিচালনার জন্য তার অধীনে আরো ১০জন পরিচালক রেখেছেন। সেই ১০ জন পরিচালকের অধীনে আরো ১০০০ জন কাজ করেন, আবার এই ১০০০ জনের অধীনে অসংখ্য শ্রমিক,ইঞ্জিনীয়ার, নবিস, কেরাণী, হিসাব রক্ষক ইত্যাদি আছেন। সবাই সমান নয়, কিন্তু সবার কাজের দায়িত্ব দেওয়া থাকে, তার চলাফেরার গন্ডী থাকে। দায়িত্ব ও গন্ডী অমান্য করা যায়না। এটাই নিয়ম। যিনি অমান্য করেন, বা অবহেলা করেন তার শিরের উপর শাস্তি ঝুলছে অদৃশ্যভাবে।

ঠিক উপরের ছবিটার মত আমাদের ঘরে স্বামী স্ত্রী সমান নন।স্বামী স্ত্রী সমান হলে সন্তান ও আরো যারা পরিবারের সদস্য আছেন, তারাও সমান। আর সমান হলে একজনের কাঁধে সবার অন্ন জোটাবার দায়িত্ব স্বামীর বা পরিবারের কর্তা যিনি তার উপর বর্তায়না। যিনি পরিবারের সবার দায়িত্ব মাথায় নিতে পারেন , তিনি মহিলা হোন আর পুরুষ হোন তিনিই পরিবারের কর্তা। তার কথা শুনেই সবাইকে চলতে হবে। তবে আজ অবধি দেখা গেছে, মুনুষ্য সমাজের কর্তা ব্যক্তি পুরুষ। কারণ সেই কর্তা ব্যক্তি হওয়ার যোগ্যতা রাখে। যেহেতু সে পরিবারের সবার অন্ন যোগায় সেই হেতু যারা তার অন্ন খায় তাদের বাধ্য বাধকতা থাকে, কর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার ও তার কথা শোনার।

এই ছবিটি পারিবারিক চিরন্তন ছবি।

মর্যাদায় ছোট থেকে বড় এরকম থাকা চিরন্তন প্রয়োজন। তা হলে সমস্যা অনেক কমে যায়। কিন্তু সারা পৃথিবীতে, দেখা যায় ৯০ শতাংশ, পুরুষ পরিবারের ভরণপোষণ এর দায়িত্ব নেয়। বিয়ের সময় একজন স্বামী হন একজন স্ত্রী বা দাসী হন। ফলে স্বামী স্ত্রী কখনোই বন্ধু নন।বা সমান সমান নন।যে পরিবারে উপার্জন পুরুষের স্ত্রী বন্ধু হয়ে উঠেন সেই পরিবারে অশান্তি ও কলহ থাকে। কেউ কাউকে মানতে চায়না। ফলে উপার্জন ক্ষম ব্যক্তিই পরিবারের প্রভু, আর বাকীদের কাজ সেই উপার্জন ক্ষম ব্যক্তির সেবা করা পরিশ্রম লাঘব করা যাতে তিনি নিজেকে আরো সতেজ রেখে বেশি উপার্জন করতে পারেন।

চলুন,আমরা একটু পৃথিবীটার দিকে তাকাই। আমাদের আগে কারা ছিল। নিশ্চয়ই যে আগে এসেছিল তার দাবি আমাদের চেয়ে বেশী হবে। সভ্যমানুষ সমাজের  সৃষ্ট যৌন সমস্যা, সমাধান করতে হলে, আপনাকে জানতে হবে, জীবজগতের বিবর্তন।

মানুষের বংশ লতিকার উৎস ও জীবজন্তুর ইতিহাস

পৃথিবীতে প্রাণের সময়রেখা, প্রাথমিক ভাবে ধরা হয়,পৃথিবীর বয়েস ৪৬০০,০০০,০০০ বা ৪৬০ কোটি বছর ইংরেজিতে 4600 million তখন এটি একটি জ্বলন্ত গ্রহ ছিল: ৪০০ কোটি বছর আগে সাধারণ কোষ হঠাৎ জন্ম নেয়; ৩০০কোটি বছর আগে শুরু হয় সালোকসংশ্লেষণ; ২০০কোটি বছর আগে জন্মাতে থাকে জটিল কোষ; ১০০কোটি বছর আগে বহুজীবী জীবন দেখা দেয়; ৬০ কোটি বছর আগে সাধারণ প্রাণী; ৫০ কোটি বছর আগে মাছ এবং প্রোটো-উভচরদের জন্ম; সাড়ে ৪৭ কোটী বছরআগে উদ্ভিদ জমি গাছপালা; ৪০ কোটি বছর আগে পোকামাকড় এবং বীজ;৩৬কোটি বছর আগে উভচর ; সরীসৃপের জন্ম ৩০ কোটি বছর আগে; ২০ কোটি বছর আগে স্তন্যপায়ী প্রাণীর; ১৫কোটি বছর আগে পাখি; ১০ কোটি বছর আগে ফুল; এবংসারে ৬ কোটি বছর আগে যে ডাইনোসররা উড়তে পারতনা, মারা গেছে। সূত্রঃ sciencedaily
সাড়ে ৫ কোটি বছর আগে বাঁদর প্রজাতিদের বিবর্তন। ৬০ লক্ষ বছর আগে অধূনা বিলুপ্ত বাঁদর ও মানুষের মধ্যবর্তী এক প্রজাতি দেখা দিয়েছিল।প্রায় ২০লক্ষ (২.০০০,০০০) বছর আগে আফ্রিকাতে প্রথম মানুষ আবির্ভূত হয়েছিল,২ লক্ষ বছর আগে বিজ্ঞ মানুষের(Homo sapiens ) রূপ আবির্ভাব হয়েছিল। নৃতত্ত্ববিদ্‌রা এখনো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই বিজ্ঞ মানুষেরা কিভাবে একে অপরের সাথে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করত ও যৌনচারণা করত।

এই ইতিহাস আমরা মাধ্যমিক স্কুল স্তরে পাঠ্যবইয়ে একবার পড়ে এসেছি। কিন্তু ভুলে গেছি কথাগুলির অর্থ। কতদীর্ঘকাল ধরে আমাদের এই গ্রহের প্রাণের সৃষ্টির বিবর্তন চলেছে। আমাদের পূর্বপুরুষ একই জীব। অর্থাৎজীবজন্তু, পোকামাকর, পাখী উদ্ভিদ সবাই আমরা একে অপরের জ্ঞাতি। সবার দাবিই সমান।পৃথিবীর উপর অধিকার সবার সমান। আগে আসার ভিত্তিতে জীবজন্তু, পোকামাকরের অগ্রাধিকার থাকা উচিত। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি। জোর যার, ক্ষমতা যার, বুদ্ধি যার সেই সবাইকে নিয়ন্ত্রণ, শাসন শোষণ করছে ও আধিপত্য বজায় রাখছে। সে যেই হোক; পোকা মাকর, পাখী, উদ্ভিদ, জীবজন্তু বা মানুষ।সবারই তাদের মতো করে ক্ষমতা অর্জন করে রেখেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় বনে জংগলে, হিংস্র মাংসাশী জন্তুরা, আর মানুষের সমাজে মাফিয়া ও রাজনৈতিক ক্ষমতাশালীরা।

সমান, সাম্য ইত্যাদি ভেক কথা। অলীক স্বপ্ন।ক্ষমতা দখল, বা অর্জন করা বা প্রতিপক্ষকে মেরে দেওয়া হল বাস্তব ও সত্য। এটা করতে পারলে সবাই নিজেকে নিরাপদ ভাবে।

একটা খরগোশকে একটা হিংস্র জন্তু মেরে ফেলতে পারে, আবার সেই জন্তুটাকে একটা মানুষ মেরে ফেলতে পারে। আব্র একটা মানুষকে একটা পোকা কামড়ে মেরে ফেলতে পারে। অর্থাৎ ক্ষমতা কার কেমন তা জীবজন্তুকে দেখে বোঝা যাবেনা।

প্রত্যেকটা জীবজন্তু অন্য আরেকটি জীবজন্তুকে খেয়ে, শিকার করে, অনর্থক মেরে,তার জীবন চালায়। এই মারাতে, জীবজন্তুর জগতে অপরাধ হয়না। কিন্তু মানুষের সমাজে নানা ভন্ডামী চলে। যার ক্ষমতা বেশী ও রাজনৈতিক অনুমোদন প্রাপ্ত তারা বিপজ্জনক সবচেয়ে বেশি। দেখা যায়, সারা পৃথিবীর সকল প্রাণীর উপর মানুষ শোষণ করে বেঁচে আছে। আর মানুষ সমাজে নরনারীর মধ্যে নারী পরজীবি হয়ে পুরুষ শোষণ করে বেঁচে আছে। কেননা, সে পুরুষের সুরক্ষা থেকে আরম্ভ করে খাবার, আশ্রয় সমস্ত কিছুতেই পুরুষ নির্ভর। এটা একদিনে, একবছরে, হাজার বছরে হয়নি।

ক্রো ম্যাগনন (cro magnon) বা হোমো ইরেক্টাস (Homo erectus) যারা সোজা হয়ে দাড়াতে পারত (meaning ‘upright man’) এর সময় থেকেও অনেক আগে- ধরা যেতে পারে লক্ষ লক্ষ বছর আগে মহিলা প্রজাতি যেভাবে বাঁচার যোগ্যতা চেয়েছে সেইভাবেই তারা আজ বেড়ে উঠেছে সভ্য সমাজের বয়েস বেশি না যদি দশ হাজার বছর ধরি, সেই ১০ হাজার বছর ধরে নারীর জীবনযাত্রা, তার চাওয়া পাওয়া যোগ্যতা দায়ী আজকের ভাল মন্দ গুণের নারীর অস্তিত্বর জন্য। নারী পুরুষ নির্ভর ও পুরুষ সহনীয় গুণ দেখা যায়, বাঁদর কুলের অনেক প্রজাতির মধ্যে।

নারী পুরুষ নির্ভর ও পুরুষ সহনীয় গুণ দেখা যায়, বাঁদর কুলের অনেক প্রজাতির মধ্যে।

আমি দূর থেকে যেমন অঙ্ক করে , সমীকরণ করে উত্তর খুঁজে, তেমন কিছু করছি। খুঁজছি বিবর্তনের  ধারা প্রাইমেটদের জীবন

যোনি থেকে ১০ ইঞ্চি লম্বা আক্রমনাত্মক যৌনাংগ কোথায় আইনী বেড়াজালে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। মনো বিজ্ঞান, শরীর বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান এগুলি উলটে পালটে দেখার ইচ্ছা।  গত কয়েকবছর বিস্তৃত তথ্য পড়াশুনা করে মনে হল পুরুষের জগত অনেক শক্ত। ১০ ইঞ্চি রাজদন্ড দিয়ে পুরুষ সারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের অধিকারী তার যোগ্যতা আছে। জন্তু জানোয়ার পোকা মাকর পাখী  সকলের শাসক পুরুষ। এ সত্য পৃথিবীর প্রাণের বিবর্তনের ইতিহাস সাক্ষী। ভূমিকা এখানেই ইতি টানছি।

বিবর্তনে মানুষ, ভিন্ন ভিন্ন কম করেও ২০টি প্রজাতির প্রাইমেট বা বাঁদর যোনি জন্ম পেরিয়ে এসেছে। শিম্পাঞ্জি , বনবো, বেবুন baboons, chimpanzees, and bonobos ইত্যাদি।

চুলকানি এপ, প্রাইমেট বা বাঁদর শ্রেণী তাদের জননাঙ্গ চুলকে নিজেকে প্রকাশ করে। তাদের তো ভাষা নেই। তারা শারিরীক অংগভঙ্গী দিয়ে কথা বলে, ভাবপ্রকাশ করে। চুলকানি বা আংগুল দিয়ে ঘষা আদিম মানুষেরা করত, আপনি গরিলা, বনবো ওরাংওটাং  ইত্যাদি যারা মানুষ প্রজাতির ধারে কাছে সাদৃশ্য আছে তাদের মধ্যে দেখুন। না বুঝলে সেই বিশেষজ্ঞদের কাছে শুনুন।

GGR, Genito-Genital Rubbing (event):svolto tra due femmine in posizione ventro-ventrale, dorso-dorsale o ventro-dorsale con movimenti laterali del corpo per strofinare insieme i genitali (esclusivo di Pan  paniscus). -VVGGR, DVGGR,  DDGGR,  GGRRR  (maschio  in  sexc,  femmina  si  struscia  da dietro) জি জি আর, জেনিটো-যৌনাঙ্গে ঘষা (ইভেন্ট):

ভেন্ট্রো-ভেন্ট্রাল ইতালিয়ান শব্দ, মানে মুখোমুখি অবস্থানে দুটি মহিলার মধ্যে যৌনচারণার ভাষা, ডরসো-ডোরসাল দুজন পিছন পিছন দিয়ে বা ভেন্ট্রো-ডোরসাল একজনের পিছন দিয়ে আরেকজন সামনে দিয়ে  অবস্থানের মধ্যে দুটি মহিলার মধ্যে সঞ্চালিত হয় (প্যান প্যানিসাসের সাথে একচেটিয়া)।

বাঁদর প্রজাতির baboons, chimpanzees, and bonobos এরা বহুগামী যৌনকাঙ্খী।মানুষের মতোই, এরা যৌনসহবাসের জন্য লড়াই করে। মানুষের কাছের প্রজাতি, উদাহরণ স্বরূপ এরা। নেচুরাল সিলেকশানে Natural selection মানুষের সমাজ নয়। মানুষ পরিবেশ, পরিপ্রেক্ষিত ও সার্বিক বা ক্ষমতাশালীর ব্যক্তি রুচি বা স্বার্থ নিরিখে আইন প্রণয়ন করে বাস করে। তার সাথে ন্যাচুরাল সিলেকশান ধাক্কা খায়।

পুরুষ শিকার করতে পারে, পুরুষ শিকারি, পুরুষ ব্যবহৃত অনেক যন্ত্র বানাতে পারে, পুরুষ শিল্পী

(These primates are so closely related to people that they share 98.7 percent of humans’ DNA.

Bonobos, who use sex to resolve conflict, have never been seen to kill each other. They share food. They are more cooperative than chimpanzees.

and in the wild, these individuals practiced g-g rubbing, genito-genito rubbing  where two female bonobos rub their clitorises together, penis fencing between males, and a myriad of other socio-sexual behavior.

Sex for fun in bonobos, and many other animals, plays a social function. There is stress-relief sex, make-up sex and random hook-up sex. Chimpanzees, humans’ more violent cousins, do not seem to use sex in this way. They occasionally torture each other, kill strangers and demonstrate other echoes of humanity’s dark side

Bonobo sex looks human.

Primates such as chimpanzees and bonobo monkeys, pictured, do not conform to a mating system and regularly engage in frequent sex with multiple partners.

পেঙ্গুইনের একটা শ্রেণি আছে প্রতি বছর নতুন সংগী নেয় একজনের সাথে একবছর থাকে

 গত (৫-৭ ০০০, ০০০ ) ৫০ থেকে ৭০ লক্ষ বছরে আমরা কম করেও ২০ জাতির প্রজাতির সাথে আমাদের মানব ধারার, পরিবর্তন ঘটেছে। আমরা তাদের থেকে অনেক কিছু গ্রহন বর্জন করেছি। আমাদের পুরুষাঙ্গ অন্যান্য স্তন্যপায়ী বাঁদর শ্রেণী থেকে অনেক বড় হয়েছে।আর নারীর প্রজনন কেন্দ্র বা স্থানটি মিথুনের সময় প্রগাঢ দৃষ্টি থেকে নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের মত বেড়ে উঠেছে।we alone have the cognitive capacity to take the rich psychological perspective of our sexual partners into account. or at least to empathize  সহানুভতি to the degree we do  আমরা। মানুষই পারে তার যৌনসঙ্গীর মানসিক স্তরটুকু মৈথুনের সময় উপলব্ধি করার। তার প্রতি সহানুভুতি দেখানো।  ফলে মানুষের মধ্যে  সামাজিক এই জ্ঞানের  ক্ষমতার জন্য অন্যান্য স্তন্যপায়ী বাঁদরের মতো , আমাদের যৌন ক্রীড়া দ্রুত ও নোংরা  পর্যায়ে নেমে গেছে।

As a consequence of this social cognitive capacity, sex in our species has become about more than quick-and-dirty copulation or sex play, as found in other primate species. মানুষের মধ্যে একেবারে আক্ষরিক অর্থে, যৌনসঙ্গম ও প্রেম নিবেদন For humans, it has evolved quite literally into “intercourse” and “lovemaking,” in which our own immediate sexual desires must be carefully balanced with the mental needs, desires and wellbeing of others. Sometimes our old primate brains overpower these more recently evolved social cognitive জ্ঞান বা উপলব্ধি factors; people may fail to inhibit themselves when intensely aroused and selfishly take advantage of others’ bodies without consideration of their unseen minds. And therein lies a vital conflict, or tension, for our species.Psychology, shame , sex, a comprehensive study

বাহুবল, একটা বড় বিষয়, যা পুরুষ পশু স্তর থেকেই, বাঁদর প্রজাতি স্তর থেকেই অর্জন করেছে। আপনি প্রাইমেটদের নিয়ে গবেষণার বইগুলি ঘেঁটে দেখবেন, শিম্পাঞ্জী, গরিলা, বনবো যারা অবিকল মানুষের মত, তাদের জীবন যাপন। তাদের মধ্যে নারী প্রকৃতি ও পুরুষ প্রকৃতি। পুরুষ সর্বকালেই গুন্ডা, বাহুবলে নারীকে অধিকার করে, নারীকে রক্ষাও পুরুষই করে। দাদা গরিলা এলে সকল নারী গরিলা কেমন চুপ হয়ে যায় বা পালিয়ে যায়। পুরুষের এই প্রকৃতি তাকে অধিক আবিষ্কার ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দিয়েছে।

একটা বিষয় আমার চোখে পড়েনি, বা শুনিনি পৃথিবীর তাবড় তাবড় পন্ডিত, মনোবিদ, সমাজবিদ, জীবন বিশেষজ্ঞ যারা এই টিভি চ্যানেলে দাঁত দেখাতে আসে, রাগেই হোক আর মজা করেই হোক বা শূন্য ঘিলুবাজদের অসৎ, টাকাই মূখ্য ধারণার মিডিয়াবাজরা আনে তাদের বলতে, যে পুরুষের যৌন চারণার মধ্যে বেশীরভাগই ক্ষতির ইচ্ছা, বা নারীর দৈহিক, মানসিক ক্ষতির ইচ্ছা নিয়ে তার কাছে গেছে। পুরুষ নারীর গর্ভে সন্তান দেবে, এই ভাবনাতেও যায়না। সে নারীকে নিয়ে খুব লাভবান হবে, এই ভাবনাতেও যায়না। যায় স্বাভাবিক জৈবিক ধর্মে।

আমরা ভগবান রজনীশ বা ওশো রজনীশের আধ্যাত্ম জীবন যেখানে পবিত্র মিলনে সবাই সমান । কেউ মনে করেনা তার শরীরে অন্য কেউ আক্রমন করছে। Rajneesh emphasized the importance of meditation, mindfulness, love, celebration, courage, creativity and humour—qualities that he viewed as being suppressed by adherence to static belief systems, religious tradition and socialisation. In advocating a more open attitude to human sexuality তার ভাবনা inhibition-free lifestyle that he advocated as a panacea for the ills plaguing the modern world কে তার ভক্তরা মেনে নিয়েছিল। আর তার ভক্ত মানে সমাজের সবচেয়ে মেধাবান নারী পুরুষ। আমার আপনার মত অশিক্ষিত, কুসংস্কারগ্রস্থ দীন ভিখারি কেউ ছিলনা। মুক্ত যৌনতাকে গ্রহন freer acceptance of human sexuality ।

মানুষের বিবর্তনের সর্ব্বকালে মহিলা তো ছিলই পুরুষের পাশাপাশি। তাহলে মহিলারা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেনি কেন, এবং মাতৃতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলতে পারলনা কেন? এই প্রশ্নটার জবাব আমি কারুর কাছে পাইনি। মহিলারা একটা কথা শিখেছে, কাউকে দোষ দাও ও তাকে ছোট বানাও। এটা একটা চালাকি। ফলে মহিলারা চালাকি করে বলে,– পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ মহিলাদের দমিয়ে রাখে। তারা এটা কখনো বলেনা কৃতজ্ঞতা নিয়ে, পুরুষ আমাদের পেটের অন্ন, পরিধানের বস্ত্র ও বাঁচার সুরক্ষা দিয়ে আসছে আদিম কাল থেকে। মহিলারা চিরকাল অকৃতজ্ঞ।

মহিলাদের পুরুষ, শিকল দিয়ে ঘরে বেঁধে রাখেনি। তারা যদি মনে করত, স্বাধীনতা অতি সহজ, অন্ন, বস্ত্র, সুরক্ষা অনায়াসে পাওয়া যায় তা হলে তারা অনেক দিন আগেই পুরুষকে লাথি মেরে বেরিয়ে যেত। কিন্তু তা তারা করতে সাহস পাচ্ছেনা।

প্রকৃতির বুকে যেকোন প্রাণিকে সংগ্রাম করে বাঁচতে হচ্ছে। যারা সংগ্রামে হেরে যাচ্ছে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এই বিলুপ্ত হওয়ার দায় কে নেবে? কেউ নেওয়ার নেই, স্বাভাবিকভাবেই। মহিলাদের চাল চলন যেরকম, তারা যদি পুরুষের পাশে ছায়া হয়ে না থাকত তবে বিলুপ্ত হয়ে যেত।

ব্রোঞ্জের Bronze (৩০০০-১২০০ খ্রিস্টপূর্ব)এবং অক্ষীয় যুগ Axial Ages (৮০০ থেকে ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) বা মূল যুগে “pivotal age” প্রায় সমস্ত প্রাচ্য সমাজের কাছাকাছি অঞ্চল বেশিরভাগ পিতৃতান্ত্রিক ছিল, পুরুষতান্ত্রিক ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রতিষ্ঠিত ছিল। অক্ষীয়যুগে,(৫০০-৩০০ খ্রিস্টপূর্ব) ইউরেশীয় সমাজগুলিতে বেশিরভাগ মূল ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য উদ্ভূত হয়েছিল। জার্মান দার্শনিক কার্ল জ্যাস্পার্স (Karl Jaspers)”মূল যুগ”(Axial Age ) অর্থে, খ্রিস্টপূর্ব ৮ ম থেকে তৃতীয় শতাব্দী পর্যন্ত প্রাচীন ইতিহাসের কালকে চিহ্নিত করেন। প্রাচ্যের সমাজ যেমন আক্কাডিয়ান, হিট্টাইটস, আশেরিয়ান এবং পার্সিয়ানরা( Akkadians, Hittites, Assyrians and Persians) মহিলাদের নীচু মর্যাদার ও অধীনস্থ অবস্থানে ফেলে দেয়। ব্যতিক্রম খুব কম আছে। খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দে সুমেরীয়রা Sumerians নারীদের এমন একটি অবস্থান দেয় যা পুরুষদের তুলনায় প্রায় সমান ছিল, কিন্তু দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মধ্যে নারীর অধিকার এবং মর্যাদা হ্রাস পায়।পশ্চিমে মিশরীয়দের মধ্যে মহিলাদের অবস্থান উচ্চ ছিল এবং তাদের আইনী অধিকার পুরুষদের মতোই ছিল। খ্রিস্টপূর্ব তিন সহস্রাব্দি জুড়ে কয়েকজন মহিলা এমনকি ফ্যারাও pharaohs হিসাবে শাসন করেছিলেন।তবে ইতিহাসবিদ সারা পোমেরো Sarah Pomeroy ব্যাখ্যা করেছেন যে এমনকি সেই প্রাচীন পুরুষতন্ত্রগুলিতেও যে সমাজ ছিল তাতে কোনও মহিলা মাঝে মধ্যে রানী হয়ে উঠতে পারত, কিন্তু তার অবস্থান তার মহিলা বিষয় গুলিকে শক্তিশালী করতে পারেনি।

একটা পুরুষ রাজা হলে, তার পারিষদ আমলা মন্ত্রী, সৈন্য সামন্ত রান্নাঘর, ঝাড়ুদার ইত্যাদি সবাইকে সে পুরুষ দিয়ে চালাতে পারে, তার একটি মহিলারও দরকার পড়েনা। কিন্তু একজন রানী হলে তার পারিষদ আমলা মন্ত্রী, সৈন্য সামন্ত রান্নাঘর, ঝাড়ুদার ইত্যাদি সবাইকে মহিলা দিয়ে চালাতে পারেনা। সে চলে রাজার পুরুষ তন্ত্রকে খাটিয়ে। ফলে মহিলা উপরে উঠে, রাণী হয়, স্রেফ রাজার দয়ায় বা পুরুষের দয়ায়। বেগতিক দেখলে পুরুষরা রাণীকে কারাগারে লোপাট করে দিত। ইতিহাসে এমন ঘটনা অনেক আছে। ক্লিউপেট্রা, যেমন বহু মহিলা, ভাবে পুরুষকে জব্দ করার একটাই রাস্তা তা হল মহিলার যোনি। ক্লিউপেট্রা তার ১৮ বছর বয়সে নিজেকে জুলিয়াস সিজারের ভোগ্যমহিলা করে পাঠান। তিনি খুব সুন্দরী ছিলেননা। তার নাকটা বেশ আকর্ষনীয় ছিল। একটা পুরুষের কাছে যৌন সংগমের জন্য মোটামুটি উঠতি যৌবনা হলেই যথেষ্ট। তিনি রাজত্ব নিজে তৈরী করেননি উত্তরাধিকার সূত্রে পান তার পিতা টলেমির (assumed control of Egypt in 51 BC after the death of her father, Ptolemy XII,) মৃত্যুর পর।

মোটামুটি দেখা যায়, খ্রীষ্টপূর্ব সময়ে মহিলারা পুরুষের সমান অধিকার সম্পন্ন ছিলেননা।

সমস্ত প্রাচীন সমাজগুলিতে মহিলাদের কাছে ঘরের কাজ কর্ম বা গার্হস্থ্য জীবনই প্রত্যাশা করা হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে স্পার্টার লোকেরা ব্যতিক্রম ব্যতীত ছিল, যারা মহিলাদেরকে পুরুষদের সাথে সমানভাবে খাওয়াতেন, পুরুষদের মতো লড়াই করার প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন,এই বিশ্বাসে নারীরা যাতে আরও শক্তিশালী বাচ্চাদের জন্ম দিতে পারে । প্রাচীন এবং চিরায়ত গ্রীসের ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গি ছিল পুরুষতান্ত্রিক; তবে গ্রীক সাহিত্যে এর শুরু থেকেই নারীবিদ্বেষের নমুনা রয়েছে। কিছু গ্রীক তখনকার দিনের সাহিত্যিকদের মধ্যে একটা প্রচার দৃষ্টিভঙ্গি মহিলাদের প্রতি ইতিবাচক ছিল। থ্যালস, সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল, অ্যারিস্টোফেনস এবং ফিলো এবং অন্যান্যদের (Thales, Socrates, Plato, Aristotle, Aristophanes and Philo, and others,)মতো কিছু ধ্রুপদী লেখককের বিশ্বাস ভালোই ছিল, বাকীরা বলত মহিলাদের সম্পর্কে “পুরুষের চেয়ে দ্বিগুণ খারাপ”, একটি “ক্ষতিকারক জাতি”, “কোনও ভাবে কখনই বিশ্বাস করা উচিত নয়” এবং পুরুষের জাতি থেকে পৃথক করে দেওয়া উচিত,একটি স্বভাবজাত নিম্নমানের জাতি হিসাবে প্রাচীন গ্রিসে একটি কথা প্রচলিত ছিল, সেখানে মানুষ দেবতাদের ধন্যবাদ জানাত এই কারণে যে, সে অসভ্য, ক্রীতদাস বা মহিলা নয়। মানে মহিলাকে এত নীচে ভাবা হত, ঘৃণা করা হত। আর এই কথাগুলি নাকি বিভিন্ন সময় থেলস, সক্রেটিস এবং প্লেটো বলেছে।আলেকজান্ডারের পরে নারীদের জীবনযাত্রার উন্নতি হয়েছে,i তবুও মেয়েদের সম্পর্কে গ্রীক চিন্তায় রোম প্রচন্ডভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। সারা পোমেরোই ঠিকই বলেছেন “রোমান সমাজ কখনই মহিলাদেরকে পুরুষদের মতো একই সামাজিক শ্রেণির কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে উত্সাহিত করেনি।” ওডিসিয়াসের Odysseus জগতে, শাস্ত্রীয় পণ্ডিত মূসা ফিনলে Moses Finley বলেছেন: “হোমার এর লেখাতে কোন ভুল ছিলনা , যা সত্য ছিল তা পুরোপুরিভাবে প্রকাশ করেছেন।মহিলাদের প্রাকৃতিকভাবে নিকৃষ্ট বলে ধরা হয়েছিল …”(“There is no mistaking the fact that Homer fully reveals what remained true for the whole of antiquity: that women were held to be naturally inferior…”)*

মহিলারা পুরুষের মত নয়

বাইবেলের আদি পূস্তকের প্রথম অধ্যায়ে লেখা আছে ২৬ থেকে ৩১ পদ অবধিঃ 26পরে ঈশ্বর কহিলেন, আমরা আমাদের প্রতিমূর্ত্তিতে, আমাদের সাদৃশ্যে মনুষ্য নির্ম্মাণ করি; আর তাহারা সমুদ্রের মৎস্যদের উপরে, আকাশের পক্ষীদের উপরে, পশুগণের উপরে, সমস্ত পৃথিবীর উপরে, ও ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় সরীসৃপের উপরে কর্ত্তৃত্ব করুক। 27পরে ঈশ্বর আপনার প্রতিমূর্ত্তিতে মনুষ্যকে সৃষ্টি করিলেন; ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তিতেই তাহাকে সৃষ্টি করিলেন, পুরুষ ও স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে সৃষ্টি করিলেন। 28পরে ঈশ্বর তাহাদিগকে আশীর্ব্বাদ করিলেন; ঈশ্বর কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর, আর সমুদ্রের মৎস্যগণের উপরে, আকাশের পক্ষিগণের উপরে, এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর উপরে কর্ত্তৃত্ব কর। 29ঈশ্বর আরও কহিলেন, দেখ, আমি সমস্ত ভূতলে স্থিত যাবতীয় বীজোৎপাদক ওষধি ও যাবতীয় সবীজ ফলদায়ী বৃক্ষ তোমাদিগকে দিলাম, তাহা তোমাদের খাদ্য হইবে। 30আর ভূচর যাবতীয় পশু ও আকাশের যাবতীয় পক্ষী ও ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় কীট, এই সকল প্রাণীর আহারার্থ হরিৎ ওষধি সকল দিলাম। তাহাতে সেইরূপ হইল। 31পরে ঈশ্বর আপনার নির্ম্মিত বস্তু সকলের প্রতি দৃষ্টি করিলেন, আর দেখ, সে সকলই অতি উত্তম। আর সন্ধ্যা ও প্রাতঃকাল হইলে ষষ্ঠ দিবস হইল।

বাইবেলের আদি পূস্তকের ২ অধ্যায়ে লেখা আছে ১৮ থেকে ২৫ অবধি, ধুলি থেকে মানুষ সৃষ্ট করলেন এবং তাকে সাহায্য করার জন্য মানবী বানান, পুরুষের পাঁজর থেকে তার হাড় আর শরীর থেকে বাকি কিছু নিয়ে।(The Hebrew word that is traditionally translated as “rib” is tsela‘ “rib” is the wrong translation for tsela‘tsela‘ should be translated as “a non-specific, general term,” such as one of Adam’s lateral limbs, in the Adam and Eve story. Thus, it refers to “limbs lateral to the vertical axis of an erect human body: hands, feet, or, in the case of males, the penis.”Eve came from a different part of Adam’s body—his baculum. অনেক পন্ডিত গ্রীক ও হিব্রু অনুবাদ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন। পাঁজর হবেনা, ইভ বা হবাকে আদমের যৌনাঙ্গের হাড় থেকে সৃষ্ট করেন। এবং নারীকে পুরুষের অধীনে থাকতে বলেন। (“I will greatly multiply your pain in childbirth.  In pain you shall bring forth children; yet your desire shall be for your husband, and he shall rule over you.” (Gen. 3:16).”But I want you to understand that Christ is the head of every man, and the man is the head of a woman, and God is the head of Christ.” (1 Cor. 11:3).)

প্রতিটা ধর্মীয় গ্রন্থ, নারীকে কর্তার ভূমিকায় দেখেনি কারণ নারী পুরুষের সাহায্যকারীনীর ভূমিকা ছাড়া তার আর কোন ভূমিকায় সফল হবেনা।

পুরুষ যদি বিজ্ঞানী হয়, নারীও তার ৭৫ ভাগ বিজ্ঞানী হতে পারে, পুরুষ যদি মুটে গিরি করতে পারে নারীও মুটেগিরির ৭৫ শতাংশ করতে পারবে। বা তার সাহায্য কারী হতে পারে। মানুষের পক্ষে যা করা সম্ভব তার পুরুষ যদি ১০০ ভাগ করতে পারে। নারী সর্বাধিক ৭৫ ভাগ কাজ অবধি পারবে । ফলে পৃথিবীর সকল কিছুতেই নারী চেষ্টা করুক তার একটা অংশ। বাস্তবিক দেখাযায়, পৃথিবীর ৩৪০ কোটী মহিলার মধ্যে ৩০০ কোটি পুরুষের সুরক্ষার থেকে বের হতে ইচ্ছুক নয়। কারণ তার সন্তান, আর সংসারের মায়া। আর তার স্বামী হল তার সকল অক্ষমতার প্রচ্ছদ বা ঢাকা।

বিয়ের পর নারী স্বামীর বাড়িতে যায় তার সংসার দেখা শুনা করতে। তার জীবনে সুখ আনতে। নারীকে পুরুষ টপকাতে হলে আগে যোগ্যতা নিতে হবে। পুরুষকে তার বাড়িতে আনতে হবে তার সুখের জন্য। পুরুষের বুকে দাঁড়িয়ে পুরুষ পীড়ন এটা অকৃতজ্ঞতা, ও অমানবিক।

free counters Locations of Site Visitors

প্রবন্ধের শেষে আমার কাছে মনে হয়,নারী পুরুষ- যিনি যেখানে যোগ্য তিনিই সেখানে রাজত্ব করবেন। এই নিরিখে বলা যায়, পৃথিবীটা পুরুষের