Uncategorized

সিলভিয়া প্লাথ ও পুরুষ বিদ্বেষঃ মহিলাদের মনন

যারা সাহিত্যের অধ্যাপনা করেন, তারা জানেন সিলভিয়া প্লাথকে Sylvia Plath, জন্ম 27 October 1932,। সিলভিয়া প্লাথ একজন নারীবাদী কবি- এমটিই পশ্চিমী নারীবাদী কবিরা দাবি করেন। এবং তার উজ্জ্বল প্রমাণ সিলভিয়া প্লাথের ড্যাডি “Daddy” নামক কবিতাটি। ক্লিক করে কবিটাটি পড়তে পারেন।

উল্লেখ্য Daddy: 1933 BY GEOFFREY BROCK


কবিতা বা শিল্প কোনকিছুই স্রষ্টার নিজস্ব অনুভূতি বা মানসিক প্রকাশ। কোন ঘটনার থেকে উৎস নিয়ে তার শৈল্পিক প্রকাশ। সার্থকতা, দক্ষতা এসব পরে বিচার্য। তবে প্রচার ও স্রষ্টার ব্যক্তিগত সামাজিক ভূমিকা একজন খারাপ কবিকেও জনহৃদয়ে আনতে পারে আবার একজন দক্ষ স্রষ্টাকেও অন্ধকারে মুছে দিতে পারে।
আমার সন্দেহ সিলভিয়ার থেকে অনেক ভাল মহিলা কবি আছেন, এবং তারাও জনমানসে আছেন, কিন্তু তারা সিলভিয়ার মত অকারণে পুরুষ ঘৃণা করতেননা। যারা পুরুষ ঘৃণা করেননা তারা নারীবাদী তকমা পাননা। বহু মহিলা এই নারীবাদী তকমার জন্য হা পিত্যেশ করেন। কারণ এই তকমাতে একটা মই আছে। সেই মই বেয়ে উপরে উঠা যায় তাড়াতাড়ি।
পুরুষ ঘৃণার কবিতা নারীবাদীদের কাছে অস্ত্র। এটা তাদের বিশ্বাস ও প্রচারের মূল উপাদান। সিলভিয়া প্লাথের মতন কবি নয় শুধু একটা অংশ মহিলা, সবসময় তার সংগী-স্বামীকে বা তার পিতাকে অকারণেও নিজের হতাশার বা ব্যর্থতার কারণ মনে করে ও তার উপর নিজের হতাশার কোপ বা ক্রোধ মেটাতে চায়।


আপনি খবরের শিরোনামেও দেখবেন মেয়ে তার বাবাকে খুন করতে দ্বিধা করেনা।
নোয়াপাড়ার সুদীপা পাল তার বাবা, মা, সহ মোট ৪জনকে খুন করেছিল। সম্প্রতিকালে দেখছি, মোবাইল কিনে না দেওয়ার জন্য বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা।স্বেচ্ছাচারী জীবনের বাধা তাই বাবাকে খুন। এরকম সহস্র নজির আছে। কোন কারণ নেই, নিজের পিঠ বাঁচাতে অল্প বয়েসী মেয়েটিও অজানা পুরুষের নামে যৌনহেনস্থার অভিযোগ আনে। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে, ১৬ জুন ২০২৩। An 8-year-old girl had told her parents that the delivery agent had taken her to the terrace of the building. However, CCTV footage showed she lied. এরকম অজস্র ঘটনা আছে যার থেকে আমরা ধরে নিতে পারি মহিলাদের মাথা জন্ম থেকেই বিকৃত ও মিথ্যা প্রিয়।
আমি আশ্চর্য হয়েছি। আমার ব্যক্তিগত জীবনের দেখা অভিজ্ঞতা থেকে।

সিলভিয়া প্লাথের বাবা মারা গেছে সিলভিয়ার বয়েস যখন ৮ বছর। যতটুকু তথ্য সিলভিয়ার বাবা অটো প্লাথের Otto Plath পাওয়া যায় তাতে তিনি, একজন বিজ্ঞানী ও কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। সাধারণের মধ্যেই মিশে থাকতেন। বন্ধুবান্ধব বেশি ছিলনা।
অটো এমিল প্লাথ Otto Emil Plath।( April 13, 1885 – November 5, 1940) ছিলেন একজন জার্মান আমেরিকান লেখক, একাডেমিক এবং জীববিজ্ঞানী। প্লাথ বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞান এবং জার্মান অধ্যাপক হিসাবে এবং ভ্রমর নিয়ে নির্দিষ্ট দক্ষতার সাথে একজন এনটোলজিস্ট entomologist হিসাবে কাজ করেছিলেন। যেহেতু তিনি জার্মানী (প্রুশিয়ায়) সেইহেতু তার স্বভূমির জন্য টান ছিল। কোন নাজী গ্যাস চেম্বারের ঘটনা তখনও দেখা যায়নি। নাৎসীরা গ্যাস চেম্বার ব্যবহার শুরু করে যখন রাশিয়া ১৯৪১ সালে জার্মানী আগ্রাসন শুরু করে।
১৯৪০ সালে, প্লাথ তার পায়ে সংক্রমণের কারণে একজন ডাক্তারকে দেখেছিলেন। ডাক্তার তাকে ডায়াবেটিসের উন্নত কেস হিসাবে চিহ্নিত করেন। তার পা সংক্রমণ গ্যাংগ্রিন হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার পরে অক্টোবরে তার পা কেটে ফেলতে হয়েছিল। ১৯৪০ সালের ৫ নভেম্বর ম্যাসাচুসেটস -এর উইনথ্রপতে Winthrop, Massachusetts তিনি মারা যান। (The Nazi Party, officially the National Socialist German Workers’ Party was a far-right political party in Germany active between 1920 and 1945 that created. Adolf Hitler was an Austrian-born German politician who was the dictator of Germany from 1933 until his suicide in 1945) The Nazis began experimenting with poison gas for the purpose of mass murder in late 1939 with the killing of patients with mental and physical disabilities in the Euthanasia Program. Gassing also proved to be less costly.In 1942, systematic mass killing in stationary gas chambers began at Belzec, Sobibor, and Treblinka, all in German-occupied Poland।

১৯৩৩ সালে নাৎসিরা (রাজনৈতিক পার্টি) ক্ষমতায় আসার পরে তারা আইনের অধীনে সমস্ত ইহুদিদের সম্পত্তি, স্বাধীনতা এবং অধিকার ছিনিয়ে নিতে শুরু করে। ১৯৩৯ সালে জার্মান আক্রমণ ও পোল্যান্ডের দখলের পরে নাৎসিরা তৃতীয় রাইক থেকে পোল্যান্ডের কিছু অংশে ইহুদিদের নির্বাসন দেওয়া শুরু করে, যেখানে তারা তাদের বাকী জনসংখ্যার থেকে আলাদা করার জন্যইহুদীপাড়া বা বস্তি তৈরি করেছিল।

১৯৪১ সালে, রাশিয়ার the USSR জার্মান আগ্রাসনের সময় নাৎসিরা আন্তরিকভাবে তাদের নির্মূলের প্রচার শুরু করে। নাৎসিরা জার্মানি এবং ইহুদি জনগণের , পাশাপাশি স্লাভিক জনসংখ্যা এবং রোমার মধ্যে মধ্যে জাতিগত/বংশ যুদ্ধশুরু করে। ১৯৪১ সালের শেষের দিকে, তারা ৫০০,০০০ লোককে হত্যা করেছিল এবং ১৯৪৫ সালের মধ্যে তারা প্রায় কুড়ি লক্ষ হত্যা করেছিল – যাদের মধ্যে ১৩ লক্ষ ইহুদি ছিল। এই সম্পূর্ণ কাজটাই সারা পৃথিবীতে নাৎসীদের ঘৃণার চোখে দেখেছে।
ড্যাডি কবিতাটি সিলভিয়া লিখেছেন টেড হিউজের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হবার এক মাস পরে, ১২ অক্টোবর ১৯৬২ সালে। সেই হিসাবে তার কবিতায় স্বীকারোক্তি তিনি তখন ৩০ বছরের মহিলা।
তার কবিতার প্রথম লাইনেই তার অসন্তোষটি You do not do, you do not do/ Any more, মানে তার বাবা আর তার কাছে কেউই না/কিছুই না। তার মনে হয়েছে তার বাবা কালো জুতার মধ্যে তিনি ৩০ বছর কাটিয়েছেন খুবই খারাপ ভাবে। এমনকি তিনি হাঁচি ফেলতেও পারচ্ছেননা। black shoe/ In which I have lived like a foot/
For thirty years, poor and white,

দ্বিতীয় স্তবকে বলছেন
Daddy, I have had to kill you.
You died before I had time—— তিনি তার বাবাকে হত্যা করার আগেই তার বাবা মারা গেছেন। সেই শোকও তার কাছে অসহনীয়।
৪র্থ স্তবকে তার বাবাকে তুলনা করছেন সেই নাৎসীদের সাথে আর তিনি ডাকাউ ও আসউইটজ এর ক্যাম্পে গ্যাস চেম্বারে মৃত ইহুদী । কিন্তু সিলভিয়ার কি নাৎসীদের রাজত্ব কখনো ছিল? তাতো নয়। এরপরের দিকে তার কবিতা তার বাবাকে একজন ঘৃণিত ব্যক্তির মত এক প্রতিমূর্তী বানান।
শেষ পংক্তিটিতে লেখেন Daddy, daddy, you bastard, I’m through.
কেন এত ঘৃণা। অকারণে একজন নিরীহ মানুষকে নিয়ে? সম্ভবত মহিলা যারা নারীবাদী বলে নিজেকে ভাবেন, বা অবচেতনে ভাবেন তারা কি সমাজের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র না তারা বলতে চান প্রতেয়ক মহিলাই পুরুষ বিদ্বেষী?

Ted Hughes and Sylvia Plath, 1959

সিলভিয়ার আত্মহত্যার প্রবণতা টেড হিউজের সাথে বিয়ের অনেক আগে থেকেই ছিল ১৯৫৩ সাল থেকেই। টেড সেটা জানতেননা
টেড হিউজ ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক। সিলভিয়া গেছিলেন তার সাথে দেখা করতে। তারপর ৪ মাস প্রেম ও বিয়ে। দুজন সৃজনশীল দম্পতি, শুরুটা ভালই ছিল। সিলভিয়া তার বিয়ের আগে, ছেলে পাগল মহিলা ছিলেন। তার যৌনজীবন বহু জনের সাথে ঘটেছে। এবং এই বহুমাত্রিক যৌনজীবন আমেরিকাতে মহিলাদের ভাষায় স্বাধীনতা। ফলে অনেক নারী বাদী মহিলা সিলভিয়াকে নারীবাদী কবি হিসাবে বর্ণনা করেন ও জনপ্রিয় করার প্রচার চালান।
সাধারণ মানুষের মতন না ভেবে অনেকেই সিলভিয়ার উপর অসাধারণত্বের প্রলেপ দিয়ে দেখেছেন, যারা দেখেছেন তারা সবাই নারীবাদী মহিলা। তারা যে ভুল ভাবে সিলভিয়াকে দেখেছেন তা সিলভিয়ার মৃত্যুর পর তার জীবন ও চিঠি নিয়ে বিস্তর বিশ্লেষণ হয়েছে এবং সিলভিয়া সহ নারীবাদীরা যে ধ্বংসাত্মক তা প্রমাণ হয়ে গেছে ।

পুরুষদের মাথায় রাখতে হবে, প্রেম বলে কিছুই নেই। যেকোন সময়ে একজন মহিলা কোন পুরুষকে দানব ও অপরাধী বানিয়ে সামাজের কাছে তুলতে পারেন। যেমন টেড হিউজকে অনেক অপমান সইতে হয়েছিল।

Uncategorized

বিপরীত লিংগের সাথে যৌনতা ও শিল্পসৃষ্টি।

সৃজনশীল কাজ। সে ফ্যাক্টরিতে গাড়ি বানানো হোক, নতুন ডিজাইনের অট্টালিকা বা নদীর উপর সেতু হোক। যা পৃথিবীতে আগে কখনো কেউ শুনেনেনি, দেখেনি বা ভাবেনি। সেটা কোন নতুন ভাবনাও হতে পারে। কুমোর বা পটোয়াদের মত একই ছাঁচে ঊনিশ/বিশ করে প্রতিমা বা পটচিত্র নয়, তা হলো সৃষ্টি। এই দ্ব্যর্থক শব্দটি কোন অজ্ঞ-মূর্খের জীবনেও ঘটতে পারে বা অতি জ্ঞানী পন্ডিতেরও মাথায় আসতে পারে। মূলত ভাবুক প্রকৃতির একটা গোষ্ঠি।


এখানেই শুরু হয় লিংগ-দ্বন্দ্ব ও ক্ষমতার প্রকাশ। দেখা গেছে। ইতিহাসে পুরুষরাই ৯০ শতাংশ সৃষ্টির অধিকর্তা। মহিলারা যতটুকু আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন, তাতে কোন জেল্লা আসেনি। না আসার পিছে, মহিলাদের লিংগ-ক্ষমতার ব্যর্থতা ৯০%।কিন্তু আমেরিকায় বহু মহিলা পারফর্মান্স আর্ট মঞ্চস্থ করে বিখ্যাত হয়েছেন। মহিলাদের পারফর্মাঞ্চ performance art আর্ট কি? যেসকল দর্শক জনসমক্ষে নারীর যোনি ও স্তন উদোম দেখতে ভালবাসেন তাদের সামনে মহিলা শিল্পীরা শিল্পের নামে নিজেদের উলংগ হয়ে দেখিয়েছেন। এই শিল্প পুরুষরাও করেছেন কিন্তু নারীর যোনি ও স্তনের অমোঘ টান পর্নোগ্রাফিতে বা শিল্পে- অধুনা, সিনেমা ও মডেলের নামে মহিলারা উলংগ হয়ে কোননা কোনভাবে মানুষকে দেখিয়েছেন। আমার মতে এক এক ধরণের বিকৃতি।
কিন্তু মহিলাদের যারা সৃষ্টির জগতে একেবারে গুটি কয়েকজন তাদের মধ্যে অধিক ঈর্ষা ও পুরুষ দ্বন্দ্ব বা পুরুষ আমাকে ধর্ষণ করেছে- জাতীয় অভিযোগ ছাড়া উজ্জ্বল আলোতে আসার পথ খুবই সংকীর্ণ।
এই বলে আমি কোন নারী শিল্পীকে হতাশ করার পক্ষে নেই। তারা আসুক, বুদ্ধি ও পরিশ্রম দিয়ে প্রমাণ করুক তাদের শিল্প ভাস্কর্য পুরুষের চেয়ে কম নয়।

আমি বিগত বছর ৫ ধরে ছবি ভাস্কর্যে লিংগ-বৈষম্য নিয়ে সমীক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আকাডেমিক জার্নালগুলি পাঠ করে শিল্প-ভাস্কর্যে লিংগ বৈষম্য নিয়ে গভীর অনুসন্ধান চালিয়েছি। আমার প্রথম এই ভাবনাটা আসে। কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান থেকে। অনেকেই জানেননা, বা জানেন। আমার ৮টি কবিতার বই আছে এবং কয়েকশত ছোট পত্রিকায় আমার লেখা প্রকাশ হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে আমি কবি কবিতার প্রতি ঘেন্নায় কবিতা প্রকাশ থেকে বিরত। কিন্তু কবিতা লিখে চলছি। ছবি আঁকার পেশাধারী বয়েস সেই ১৯৮০ সাল থেকে। প্রায় ১০০ ড্রয়িং পেন্টিং এর বই বহু প্রকাশক প্রকাশ করেছে। ১০টা একক ছবি প্রদর্শনী ও প্রায় ৫০ এর অধিক গ্রুপ পেইন্টিং প্রদর্শনী ২০১৭ র মধ্যে শেষ করে আমি আর ছবির জগতেও নেই।
আমি দেখেছি, অকারণে মহিলা কবিদের প্রশংসা হয়। আর নারী পুরুষ কবিরা কবিতাকে ফাইন আর্ট হিসাবে শ্রদ্ধা না করে, সময় কাটানো বা বিপরীত লিংগকে বশীভূত করার জন্য কবিতা লেখে। ফলে কবিতায় সস্তার প্রেম যেন রাধা কৃষ্ণের দেওয়ালে ঝুলান ক্যালেন্ডার। ঐ রকম পাহাড় প্রমাণ আবর্জনার মধ্যে আমি আমার ছবি ও কবিতাকে অশ্রদ্ধা করতে পারিনা। তার চেয়ে ঘরে অন্ধকার কবিতারা মরে যাক। এটাই আমার বিশ্বাস।


কবি কৃষ্ণা বসু, বাংলার মহিলা কবিদের মধ্যে অনেক উচ্চারিত নাম। তার একটা কবিতা আমি শুনেছি আমার অনুষ্ঠানেই- মেয়ে মানুষের লাশ।

মহিলা কবি মাত্রেই সেই গৎবাঁধা ছিঁচকাঁদুনে দুর্ভাগ্যের ও অত্যাচারের বলি হবার গল্প।

“সাঁকোর কিনারে এসে আটকে আছে লাশ
মেয়েমানুষের লাশ;
আটকে আছে, বেরুতে পারছে না ।
তার মুখ ফেরানো রয়েছে সন্তানের দিকে,
তার মুখ ফেরানো রয়েছে সংসারের দিকে,
তার মুখ ফেরানো রয়েছে পুরুষের দিকে,
প্রহারে প্রহারে তাকে পর্যুদস্ত করে গেছে যে পুরুষ
তার মুখ ফেরানো রয়েছে তার দিকে ।
বোকা অভিমানী আদর-কাঙালি মুখ
ফেরনো রয়েছে আজও জীবনের দিকে ।
সাঁকোর কিনারে এসে আটকে আছে লাশ,
মেয়েমানুষের লাশ;
আটকে আছে, বেরুতে পারছে না

মোটামুটি পশ্চিমী রাস্ট্রগুলির পদলেহন করে যে সংস্কৃতির বলি আমরা, তারা সবাই জানি। পশ্চিমী রাস্ট্রগুলিই ক্রীতদাস প্রথা শুরু করেছিল। পুরুষের গলায় কুকুরের মত বেড়ি ও লোহার শিকল। আমার মনে পড়েনা এই নিয়ে কোন পুরুষ ভিক্টিম কার্ড খেলেছিল কিনা। পুরুষ যেটা করেছিল, তা হল মালিকের বিরুদ্ধে অস্ত্রতুলে নিয়েছিল। রক্তপাত ঘটিয়েছিল। ভারতের স্বাধীনতা ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ভারতীয়রা দেখিয়েছিল প্রশাসককে বোম মেরে উড়িয়ে দেওয়া ও নানা প্রতিবাদ মঞ্চস্থ করা।

মহিলারা রাস্তায় থাকেনা। পুরুষ কোথাও স্থান না পেলে গাছতলায় বা রাস্তার পাশে শুয়ে পড়ে। আপনি দেখবেননা মহিলা রাস্তায় একা রাত কাটাতে। আপনি দেখবেননা, মৃত্যুর হূমকী সরিয়ে রেখে পুরুষ বিপজ্জনক কাজগুলি করে। অধিকাংশ পুরুষ ছোটখাট কোম্পানীতে কাজ করে। সেখানে মালিকের গালাগালি থেকে শারিরীক নিপীড়নের গল্প আছে। কিন্তু পুরুষ কাঁদেনা। আর পুরুষ কাজ করে মহিলা ও তার বাড়ির পরিবারের সদস্যদের দুইবেলা খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখতে।

মহিলারা প্রাণী জগতে, মানুষ বাদে জীবজন্তুর জগতে সেক্সের কোন বয়েস বা কানুন নেই। বিশেষ করে শিম্পাঞ্জীর সাথে মানুষের ডি এন এ ৯৯% মিল আছে। শিম্পাঞ্জীদের মধ্যে নারী পুরুষের সহজাত প্রবৃত্তি যা দেখা যায় তা মানুষেরও আছে। মানুষের জীবন আয়ু গড়ে ৫০ থেকে ৭২ বছর। শিম্পাঞ্জীরও তাই। মানুষের জীবনে মৌলিক খাওয়া পড়া বাঁচা ও বিপরীত লিংগের সাথে সম্পর্কের মত শিম্পাঞ্জিদেরও। অর্থাৎ, একটি মেয়ে শিম্পাঞ্জীর যখন ঋতুস্রাব যে সময় ঘটায় সেই সময়টাতে মানুষের মেয়ে সন্তানও পিরিয়ড শুরু করে।

ঋতুস্রাব সাধারণত প্রাইমেটদের সাথে সম্পর্কিত। যৌন পরিপক্কতার সময় গড় বয়স ১১.৫ বছর। মানুষ ছাড়াও, প্রাইমেটদের ফাইলোজেনেটিক phylogenetic অর্ডারের মধ্যে রয়েছে এপ, ওল্ড ওয়ার্ল্ড বানর, নিউ ওয়ার্ল্ড বানর এবং প্রসিমিয়ান। প্রাইমেটদের উদাহরণের মধ্যে রয়েছে শিম্পাঞ্জি, গরিলা, বেবুন, গিবন, লেমুর, টারসিয়ার এবং লরিস।

মানুষের মধ্যে, বয়ঃসন্ধি দ্রুত বৃদ্ধি, পরিবর্তন এবং গঠনমূলক স্নায়ু আচরণগত বিকাশের সময়কাল শুরু করে। এই পরিপক্ক জানালাতে মস্তিষ্ক এবং আচরণের পরিবর্তনগুলি সামাজিক শিক্ষার সুযোগে অবদান রাখে।
মানুষের মতো, শিম্পাঞ্জিদের দুধ ছাড়ানো এবং বয়ঃসন্ধি শুরুর মধ্যে বহু বছরের কিশোর জীবনের পর্যায় থাকে এবং বয়ঃসন্ধি শুরু হওয়ার পরে কিন্তু সামাজিকভাবে স্বীকৃত প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বহু বছরের কিশোর জীবনের পর্যায় থাকে। যেসময় থেকে তারা তাদের মা, বোন-ভাইদের কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান স্বায়ত্তশাসন বিকাশ করে, কিশোর শিম্পাঞ্জিরা একটি অত্যন্ত নমনীয় সামাজিক পরিবেশে নানা বা ভিন্ন ধরণের শিম্পাঞ্জিদের সাথে বিভিন্ন ধরণের সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করে এবং বিকাশ করে। বয়ঃসন্ধির ক্ষেত্রে আরও জটিল সামাজিক অনুপ্রেরণামূলক এবং আচরণগত প্রবণতাগুলি কীভাবে পরিবর্তিত হয় তা বোঝার জন্য, আমরা এমন প্রজাতির প্রাকৃতিক আচরণ অধ্যয়ন করে অভিনব অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হতে পারি। বয়ঃসন্ধিকালে, শিম্পাঞ্জিরা তাদের মায়ের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।ছোট ভাইবোনদের প্রতি যত্নশীল হিসাবে কাজ করতে সক্ষম হয়। একই লিংগের প্রাপ্তবয়স্কদের সংগে থাকে যারা “পরামর্শদাতা” “mentors” হিসাবে কাজ করতে পারে। এবং দুজনের বন্ধুত্বের মধ্যে পারস্পরিকভাবে অবদান রাখতে শুরু করে যেটি প্রাপ্তবয়স্কদের জীবনে যৌন প্রজনন এবং সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের ভিত্তি তৈরি করে।

শিম্পাঞ্জিরা, তাদের বোন প্রজাতি, বোনোবো (প্যান প্যানিস্কাস) sister species, the bonobo (Pan paniscus) সহ, আমাদের নিকটতম জীবিত আত্মীয়। উভয় প্রজাতির সাথে আমাদের শেষ সাধারণ পূর্বপুরুষ ৫০ থেকে ৭০ লক্ষ বছর আগে বসবাস করেছে বলে অনুমান করা হয়। গুরুত্বপূর্ণভাবে, শিম্পাঞ্জি এবং বোনোবোরা, যা আনুমানিক ১০ লক্ষ বছর আগে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে অনুমান করা হয়, আচরণ, মনোবিজ্ঞান এবং শারীরবৃত্তিতে পার্থক্য রয়েছে, যার মধ্যে মানুষের মধ্যে সহ-সংঘটিত হওয়ার উপায়গুলিও রয়েছে।

তাদের মধ্যে মহিলাদের যেমন জীবন প্রণালী ঠিক মানুষের মতো। পার্থক্য হলো মুনুষ্য সমাজে মহিলারা নিজেকে অত্যাচারিত বলে বিনাশ্রমে নিজেদের সুবিধা ও সুখ আদায় করে নেয়। আমার কাছে এটা অত্যন্ত প্রতারণা বলে মনে হয়েছে। মানে অধিকাংশ মহিলা যারা নারীবাদী তকমা ধারী তারা সব প্রতারক।
জীবজন্তু সমাজেও পুরুষ প্রধান, ও তার কর্তৃত্বের তলায় মহিলারা। যৌনসুখ পুরুষের অধিকার। কারণ এটি তার সহজাত মৌলিক প্রবৃত্তি। সমাজে মহিলাদের উপর তার জোর পূর্বক ধর্ষণ ও মহিলাকে নিজের প্রহড়ার তলে নিয়ে আসা ও রক্ষা করা মনে করে। মানুষ সমাজে মহিলারা স্বাধীন বলে প্রচার চালায় ও নিজের উপর কোন পুরুষের কর্তৃত্ব অস্বীকার করতে চায়। এই কথা শুনতে যত ভাল লাগে ততটাই খারাপ বাস্তবে।
মহিলা স্বাধীন হলে তার শত্রু তার নিজের শরীর হয়ে উঠে। এমন কোন সমাজ নেই যেখানে নারী পুরুষ পারস্পরিক নির্ভর ও আদান প্রদান না ঘটিয়ে শান্তির জীবন নিতে পারে। মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের কাছে তার কর দিতে হয়। সমাজ তাকে সুরক্ষা ও সুবিধা দেয়। নারী পুরুষ মিলে পরিবার তৈরি করে। এখানে যৌথ জীবনে কেউ স্বাধীন নয়। বিবাহ একটা চুক্তি। যেখানে পুরুষের কাছে তার সমস্ত কিছু বন্ধক থাকে তদ্রুপ পুরুষও নারীর চাওয়া পাওয়ার ও সুরক্ষার অংগীকার বদ্ধ। এবং প্রতিটা পরিবারে- প্রায় ৭০% পরিবার আর্থিক কাঠামোতে কেউ কারুর প্রতি অভিযোগ আনতে পারেনা।নিজের কষ্ট সহ্য করেও সংগীকে বেশি ও সততার পরিষেবা দেওয়া কর্তব্য। যেমনটি জীবজন্তু জগতে পরিলক্ষিত হয়।

মহিলারা যে পুরুষের সাথে তুলনায় কোন অংশেই সমান নয় তার অনেক কারণের মধ্যে পেরমেনোপজ perimenopause একটি। যৌনতা শুকিয়ে গেলে সৃজনশীলতাও শুকিয়ে যায়। ডিম্বাণু না থাকলে যেমন সন্তান প্রসব অসম্ভব ঠিক তেমন যেকোন সৃষ্টির সাথে মানুষের বৈধ বা অবৈধ যৌনতা জুড়ে আছে। যৌনতা অবৈধ সম্পর্ক যতটা রোমাঞ্চ ও স্ফুর্তি আনে বৈধ যৌনতা ততটা রোমান্টিক নয়। বস্তু নতুন নতুন ভাললাগার মধ্যেই খুশী বাকী পুরাণো হয়ে গেলে তো যান্ত্রিক বা সেটাতে রক্ত ততটা দাপাদাপি করেনা। পুরো খেলাটাই হরমোন hormones খেলে। এক ব্রিটিশ লেখিকা ইন্ডিপেন্ডেন্ট জার্নালে independent.co.uk তার হতাশার কথা জানালেন অকপটে। জার্নালটিতে যা প্রকাশ হয়েছিল আমি তা শুধু বাংলা করে দিয়েছি। (an-interview-with-amanda-craig-author-of-the-golden-rule-2) মহিলারা পাঠশেষে আপনাদের বক্তব্য শুনতে চাই।

#creativity#sexhormones#perimenopause#artandHormones

এই মাসের শুরুর দিকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সৃজনশীল ব্যক্তিদের সাধারণের চেয়ে বেশি যৌন-কামনার প্রবণতা থাকে, এটা উল্টো আমার ব্যক্তিগত আবেগে আঘাত করেছে। খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে, আমি ১৮ মাসের ব্যবধানে তিনটি বড় অপারেশনের ফলাফল থেকে সুস্থ হয়ে উঠছি, সবচেয়ে সাম্প্রতিক একটি ডিম্বাশয় অপসারণ removal of an ovary হয়েছে। আমার সার্জন আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে অবশিষ্ট ডিম্বাশয় হারানো ইস্ট্রোজেন missing oestrogen তৈরি করবে, কিন্তু ফলাফল হল যে, মাত্র ৪৬ বছর বয়সে, আমার অকাল রজোনিবৃত্তি menopause হয়ে গেল।

মানুষ পছন্দ করে না রজোনিবৃত্তির সম্পর্কে কথা বলা যে তাতে আপনার কি ক্ষতি হতে পারে। কারণ, আমাদের অতি-যৌন hyper-sexualised সমাজে,

আমরা আর উর্বর fertile না হওয়ার জন্য লজ্জিত বোধ করি এবং and sexually up যৌনতা উপভোগ করতে পারবনা অনুভব করি।

এটা যথেষ্ট খারাপ কিন্তু, একজন শিল্পীর জন্য, আমার ক্ষেত্রে একজন ঔপন্যাসিক, আমার জাদুগুণ হারানো সৃজনশীলতার উপর বিপর্যয়কর প্রভাবও ফেলবে বলে মনে হয়। শব্দ, ধারণা এবং চিত্রের প্রবাহ যা শ্বাসের মতো অনিবার্য মনে হয়েছিল এখন সর্বস্বান্ত হয়েছে।

আমি সবসময় ফ্রয়েডের সৃজনশীল তাড়নার ব্যাখ্যা করতাম লেখার প্ররোচনার জন্য এক চিমটি লবণ সহ উৎপাটিত যৌনতা,যতই বেদনাদায়ক বা বিভ্রান্তিকর হোক মনে হত একটি মানসিক বা আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া শারীরিকভাবে আমার সাথে যা ঘটেছে তা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। আমি প্রচণ্ড জ্বর এবং গর্ভাবস্থার প্রতিটি পর্যায়ে ; যখন সুখী, অসুখী, অসুস্থ বা ভাল ছিলাম লিখেছি।

গত গ্রীষ্মে আমার অপারেশনের পর প্রথম জিনিসটি আমি লক্ষ্য করেছি আমার আর কোনো স্বপ্ন জাগছেনা। মনস্তাত্ত্বিকরা বলছেন এটা অসম্ভব, কিন্তু আমি সাদা কাগজের মত খালি মন নিয়ে জেগে ছিলাম। আমি অন্য ঔপন্যাসিক বন্ধুদের সাথে কখনও আলোচনা করিনি যে আমরা স্বপ্নের ধাক্কা এবং প্ররোচনার উপর কতটা নির্ভরশীল। অনুপ্রেরণার জন্য, কিন্তু আমার ভাবা উচিত যে এটি আমাদের সকলের জন্য একই রকম।

একটি উপন্যাস লেখার সময়, আমি আমার চরিত্রগুলির সাথে এতটাই জড়িত থাকি যে আমি তাদের সম্পর্কে স্বপ্ন দেখি। আমি তাদের কথা শুনি, তাদের দেখি, তাদের মতো অনুভব করি। এমনকি সবচেয়ে খারাপ nasties চরিত্র (যা আমি তৈরি করতে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি, অবশ্যই), এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা পারস্পরিক প্রলোভনের মতো অদ্ভুতভাবে অনুভব করি।

আমি যখন একটি চরিত্রকে জানতে বা চিনতে চেষ্টা করি, তাই তারা আমার ব্যক্তিত্বের দিকগুলিকে আক্রমণ করে এবং প্রভাবিত করে।

অবশেষে, এই কাল্পনিক প্রাণীগুলি আমার কাছে এতটাই প্রাণবন্ত হয়ে উঠে যে আমি আমার চোখ খোলা রেখে কমবেশি স্বপ্ন দেখি।

এটি কিছুটা শয়তানের ভর করার মত, এবং এটি যেমন আমি বুঝতে পেরেছি, হরমোনের ভাটা এবং প্রবাহের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত যা আমাদের সকলকে যৌবনে পরিপূর্ণ করে।

রেনোয়ার Renoir বলেছিলেন, খারাপভাবে, তিনি তার লিঙ্গ দিয়ে আঁকেন।

আমি সর্বদা এটিকে হাস্যকর বলে মনে করেছি (একদমই নয় কারণ এটি মহিলাদের সৃজনশীলতাকে স্পষ্টভাবে অস্বীকার করে)।

কিন্তু আমি সবসময় ভেবেছি যখন লেখকরা তাদের জগত আবিষ্কার করেন তখন অপরিহার্য কিছু ব্যবহার করেন – বলতে পারেন এটি তাদের জীবন-শক্তি।

আমি প্রায়ই ভাবতাম কেন মডেল Muses (অনুপ্রেরণার উৎস), একজন পুরুষ শিল্পীর কাছে, সবসময় বিপরীত লিঙ্গের ছিল: এটি কি শুধুমাত্র কামোত্তেজক কল্পনার জন্য একটি অজুহাত? যৌন ক্ষমতা হ্রাসের অর্থ অবশ্যই শৈল্পিক শক্তির পতন নয়:

কথাসাহিত্যে, ফটোজেনিক “তরুণ ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক” এর কাল্ট থাকা সত্ত্বেও, সেরা বইগুলি ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা লিখত।

এখন, যাইহোক, আমি নিজেকে একটি বিলাসবহুল স্বর্ণকেশী গোঁফ অঙ্কুরিত দেখতে পেয়েছি; যেমন আমার চুল ভঙ্গুরতায় ডুবে গেছে এবং আমার শরীরের রস শুকিয়ে গেছে, আমি দেখতে পেয়েছি যে লেখার আবেগও শুকিয়ে গেছে।

রাতে, আমি ঘামছি এবং পুড়েছি, একটি ভাল ধারণার উত্তেজনা থেকে নয়। কিন্তু আকস্মিক গরম প্রবাহ hot flushes থেকে। মনে হচ্ছিল যেন ভেতর থেকে আমি রান্না হচ্ছি।

আমি সয়া দুধ এবং প্রাকৃতিক প্রতিকারের চেষ্টা করেছি, আশা করছিলাম আমার ডিম্বাশয়, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সেরে যাবে। তা হয়নি।